ইবাদতের নিয়তে হালাল উপায়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার নিয়তে সদস্য হতে হবে।
কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন বিষয়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবেনা।
কেউ কোনরূপ সুদি কারবারের চিন্তাও করবে না।
প্রতি মাসে যার যার নির্ধারিত টাকা যথা সময়ে পরিশোধ করতে হবে।
সর্বনিম্ন এক শেয়ার নিয়ে সদস্য হতে পারবে এবং যত ইচ্ছা তত শেয়ার গ্রহণ করতে পারবে। প্রতি শেয়ারের পরিমাণ ১৫০০/= (পনেরশত টাকা)
যথা সময়ে (প্রতি মাসের ১৫ তারিখের ভেতর) নির্ধারিত টাকা দিতে না পারলে দায়িত্বশীলদেরকে অবগত করবে।
পরপর দুই মাস নির্ধারিত টাকা না দিলে সে সমিতির আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রথম ধাপে সমিটির শেয়ার সংখ্যা ২৫ এর ভেতর সীমাবদ্ধ থাকবে।
নতুন সদস্য হলে জুলাই ২০২৪ঈ. হতে বিগত মাসের টাকাসহ দিতে হবে।
কমিটির দায়িত্বশীলগণ কাউকে সদস্য হিসেবে গ্রহণ ও বাদ দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করবেন।
সদস্যদের জমাকৃত অর্থ সকল সদস্যদের পরামর্শক্রমে বিনিয়োগ করা হবে। এবং পরামর্শ মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে লভ্যাংশ অনুপাতিক হারে ভাগ করে দেওয়া হবে।
আমাদের সহপাঠী ছাড়া অন্য কেউ সমিতির সদস্য হতে পারবে না।
কোন সদস্যের কারণে সমিতিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে উক্ত সদস্যকে সমিতি থেকে অব্যহতি দেয়ার ক্ষমতা সমিতির থাকবে।
সমিতির অর্থ কোন সদস্যকে লোন বা ধার হিসেবে দেয়া হবে না।
একান্ত প্রয়োজন হলে নিজের অংশ পরিমাণ লোন নিতে পারবে। বেশির জন্য কেউ সুপারিশ করলে সুপারিশকারীকে জামিন হতে হবে এবং সুপারিশকারীর অংশ পরিমাণ লোন পাবে।
সমিতির টাকা সমিতির যৌথ একাউন্টে জমা রাখতে হবে। নিজের কাছে রাখা যাবেনা।
দায়িত্বশীলগণের কারো দ্বারা আর্থিক কোন অনিয়ম হলে সকল দায়িত্বশীল জবাবদিহিতা এবং সমস্যা সমাধান করে সকলের অধিকার বুঝিয়ে দিতে বাধ্য থাকবেন।
সদস্যগণ ক্যাশিয়ারের কাছে যে কোন সময় সমিতির বতর্মান হিসাব নিকাশ চাইতে পারবে এবং ক্যাশিয়ার তা দিতে বাধ্য থাকবেন।
ক্যাশিয়ার প্রতি মাস শেষে সমিতির বতর্মান অবস্থা সদস্যগণের নিকট তুলে ধরবে। সমিতির নির্ধারিত সময় ছাড়া সমিতি থেকে কেউ চলে যেতে চাইলে শুধু তার জমাকৃত অর্থ ফেরত পাবে কিন্তু বিনিয়োগের লাভের কোন অংশ পাবে না। সমিতি তার এই জমাকৃত অর্থ সে সমিতি থেকে চলে যাওয়ার যাওয়ার তিনমাসের মধ্যে পরিশোধ করবে।
এক বছর পর যদি কোন সদস্য সমিতি থেকে চলে যায়। তাহলে তার জমাকৃত অর্থ তাকে ফেরত দেয়া হবে। তবে সে সদস্য সমিতি থেকে চলে যাওয়ার বিষয়ে ৩ মাস আগে সমিতিকে অবগত করতে হবে।
সমিতির সদস্যগণের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কোন নিয়ম সমিতি যোগ করতে পারবে। সমিতির প্রতি সদস্যগণের আস্থা রাখতে হবে।
যে কোন সদস্য অগ্রিম চাঁদা প্রদান করতে পারবে। তবে তার টাকা বিনিয়োগ না হওয়ার আগে লভ্যাংশ পাবে না।
সমিতির বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র হলে সকলে সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করতে হবে।
এই সমিতি সহপাঠীদের এক প্লাটফরমে আসার অন্যতম মাধ্যম। তাই সকলেই সম্মিলিতভাবে দ্বীনি ও সামাজিক কাজে অংশগ্রহণে সচেষ্ট থাকবে।
সমিতির কল্যাণে বা সমিতির উদ্যোগে মিটিং কল করা হলে বা কোন আয়োজন করা হলে সকলে তাতে অংশগ্রহণে সচেষ্ট থাকবে।
সমিতির নামে যৌথ একাউন্ট থাকবে, এবং যৌথ স্বাক্ষর ছাড়া টাকা উত্তোলন করা যাবে না।
সমিতির উদ্যোগে ইলমী ও আমলী তারাক্কীর ফিকির করতে হবে।